এখনও চড়া সবজির দাম

ছবি সংগৃহীত

 

শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। প্রথম দিকে সরবরাহ কম থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও এখন নির্দিষ্ট কিছু না দেখিয়েই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দুই একটি সবজির দাম ৪০ টাকা হলেও বাকি সব সবজির দামে হাফ সেঞ্চুরি পার হয়েছে। কিছু সবজির দাম গিয়ে ঠেকেছে ৮০ টাকায়। তবে প্রতি কেজি সঁজনে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।

 

আজ (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০  টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সঁজনে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

রাজধানীর মহাখালী বাজারে ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী অনিক আহমেদ বলেন, রমজান মাস পুরোটাই বাড়তি দামে সবজি কিনতে হলো। প্রতিটি সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। বলতে গেলে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না বাজারে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত।

 

গুলশান লেকপাড় সংলগ্ন কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা হামিদুর রহমান বলেন, সবজির বাজার বর্তমানে একটু বাড়তিই যাচ্ছে। শীত মৌসুম শেষে সবজির দাম বেড়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে, তবে কয়েকদিন ধরে সবজির দাম তুলনামূলক বেশি যাচ্ছে। আমাদের যখন যেমন পাইকারি কেনা পড়ে, সেই অনুযায়ীই আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি।

 

এদিকে আজ ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। পাশাপাশি সোঁনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, এছাড়া লাল কক লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রমজান মাসে চাহিদা বেড়েছে গরুর মাংসের। আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায় আর খাসির মাংস ১০০০ টাকায়।

 

অন্যদিকে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই  ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, তেঁলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ টাকা, পাঙাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ছোট ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছের বাজার নিয়ে সাধারণ ক্রেতা রাজিব আহমেদ বলেন, সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। চাষের কই, পাঙাস, তেলাপিয়া এসব মাছ সাধারণ ক্রেতারা একটু বেশি কিনে। কিন্তু খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে এসব মাছের দাম বাড়ার পর আর কমেনি। আর এখন ভালো মাছের যে দাম, তা জিজ্ঞেস করতেই ভয় লাগে। সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জামায়াতে ইসলামী কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীর সঙ্গে জোট করবে না

» নতুন বন্দোবস্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না: আখতার হোসেন

» ইতিহাসের বিশেষ সময় অতিবাহিত করছি: জামায়াত সেক্রেটারি

» আমাদের আন্দোলন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে : নাহিদ ইসলাম

» সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

» বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর

» আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল

» কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

» ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের

» তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জয়পুরহাটে বিএনপি নেতা ফয়সল আলীমের গণসংযোগ  

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এখনও চড়া সবজির দাম

ছবি সংগৃহীত

 

শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। প্রথম দিকে সরবরাহ কম থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও এখন নির্দিষ্ট কিছু না দেখিয়েই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দুই একটি সবজির দাম ৪০ টাকা হলেও বাকি সব সবজির দামে হাফ সেঞ্চুরি পার হয়েছে। কিছু সবজির দাম গিয়ে ঠেকেছে ৮০ টাকায়। তবে প্রতি কেজি সঁজনে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।

 

আজ (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০  টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সঁজনে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

রাজধানীর মহাখালী বাজারে ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী অনিক আহমেদ বলেন, রমজান মাস পুরোটাই বাড়তি দামে সবজি কিনতে হলো। প্রতিটি সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। বলতে গেলে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না বাজারে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত।

 

গুলশান লেকপাড় সংলগ্ন কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা হামিদুর রহমান বলেন, সবজির বাজার বর্তমানে একটু বাড়তিই যাচ্ছে। শীত মৌসুম শেষে সবজির দাম বেড়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে, তবে কয়েকদিন ধরে সবজির দাম তুলনামূলক বেশি যাচ্ছে। আমাদের যখন যেমন পাইকারি কেনা পড়ে, সেই অনুযায়ীই আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি।

 

এদিকে আজ ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। পাশাপাশি সোঁনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, এছাড়া লাল কক লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রমজান মাসে চাহিদা বেড়েছে গরুর মাংসের। আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায় আর খাসির মাংস ১০০০ টাকায়।

 

অন্যদিকে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই  ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, তেঁলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ টাকা, পাঙাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ছোট ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছের বাজার নিয়ে সাধারণ ক্রেতা রাজিব আহমেদ বলেন, সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। চাষের কই, পাঙাস, তেলাপিয়া এসব মাছ সাধারণ ক্রেতারা একটু বেশি কিনে। কিন্তু খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে এসব মাছের দাম বাড়ার পর আর কমেনি। আর এখন ভালো মাছের যে দাম, তা জিজ্ঞেস করতেই ভয় লাগে। সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com